ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ


উইকিমিডিয়া প্রকল্পের অবদানকারীগণ

Article Images

ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ

ভারত হল ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত একটি সংঘ

ভারত হলো ২৮টি রাজ্য ও ৮ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজ্যসংঘ।[] এই দেশের প্রথম স্তরের প্রশাসনিক বিভাগের সংখ্যা ৩৬। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি আবার জেলা ও ক্ষুদ্রতর প্রশাসনিক বিভাগে বিভক্ত।

ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ

শ্রেণিযুক্তরাষ্ট্রীয় রাজ্য
অবস্থানভারতীয় প্রজাতন্ত্র
সংখ্যা২৮টি রাজ্য
৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল
জনসংখ্যারাজ্য: সিকিম - ৬১০,৫৭৭ (সর্বনিম্ন); উত্তরপ্রদেশ - ১৯৯,৮১২,৩৪১ (সর্বাধিক)
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল: লাক্ষাদ্বীপ - ৬৪,৪৭৩ (সর্বনিম্ন); দিল্লি - ১৬,৭৮৭,৯৪১ (সর্বাধিক)
আয়তনরাজ্য: ৩,৭০২ কিমি (১,৪২৯ মা) গোয়া – ৩,৪২,২৬৯ কিমি (১,৩২,১৫১ মা) রাজস্থান
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল: ৩২ কিমি (১২ মা) লক্ষদ্বীপ – ৫৯,১৪৬ কিমি (২২,৮৩৬ মা) লাদাখ
সরকার
উপবিভাগ

অতীতে ভারতীয় উপমহাদেশ শাসিত হয়েছিল ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠী কর্তৃক। প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীই এই ভূখণ্ডের প্রশাসনিক বিভাগ-সংক্রান্ত নিজস্ব নীতি কার্যকর করেছিল।[][][][][][][][][১০][১১] ব্রিটিশ আমলে পূর্ববর্তী (মুঘল) প্রশাসনিক কাঠামোটি মোটামুটি অক্ষুণ্ণ ছিল। সেই যুগে ভারত বিভক্ত হয়েছিল একাধিক প্রেসিডেন্সি ও প্রদেশ এবং দেশীয় রাজ্যে। প্রেসিডেন্সি ও প্রদেশগুলি ব্রিটিশদের দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে শাসিত হত। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অনুগত স্থানীয় রাজারা ছিলেন দেশীয় রাজ্যগুলির নামমাত্র শাসক। এই রাজ্যগুলির সার্বভৌমত্ব (অধিরাজত্ব) কার্যত ব্রিটিশ সম্রাটের হাতেই ন্যস্ত ছিল।

  • ^টীকা ১ ২০১৪ সালে ২ জুন তারিখে অন্ধ্রপ্রদেশকে দুইটি রাজ্যে ভাগ করা হয়; একটি হল তেলেঙ্গানা এবং অবশিষ্টাংশের নাম অন্ধ্রপ্রদেশ রাখা হয়।[২২][২৩][২৪] হায়দ্রাবাদ শহরটি সম্পূর্ণরূপে তেলেঙ্গানার সীমানার ভেতরে পড়লেও কিছু সময়ের জন্য (সর্বোচ্চ ১০ বছর) উভয় রাজ্যের রাজধানীর দায়িত্ব পালন করবে।[২৫] ২০১৭ সালের প্রথমার্ধে অন্ধ্র প্রদেশের সরকার ও বিধানসভা রাজ্যটির পরিকল্পিত নতুন রাজধানী শহর অমরাবতীতে ক্ষণস্থায়ী কাঠামোসমূহের স্থানান্তর সম্পন্ন করে।[১৪]
  • ^টীকা ২ দেরাদুন উত্তরাখণ্ডের অস্থায়ী রাজধানী। গৈর্সৈণ শহরটিকে রাজ্যের নতুন রাজধানী শহর বানানোর পরিকল্পনা আছে।
  • ^টীকা ১ ভারতের দাবি অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের আয়তন ২২২,২৩৬ বর্গকিলোমিটার; এর মধ্যে ১০১,৩৮৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা ভারতীয় প্রশাসনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
 
১৯৫১ সালের ভারত
মানচিত্র রাজ্য রাজধানী বছর উত্তরাধিকারী রাজ্য(সমূহ)
  মধ্য ভারত গোয়ালিয়র (শীতকালীন)
ইন্দোর (গ্রীষ্মকালীন)
১৯৪৭–১৯৫৬ মধ্য প্রদেশ
পূর্ব রাজ্যসংঘ রায়পুর ১৯৪৭–১৯৪৮ বিহার, ওড়িশা, মধ্য প্রদেশ
  মাদ্রাজ রাজ্য মাদ্রাজ ১৯৫০–১৯৬৯ তামিলনাড়ু
  মহীশূর রাজ্য মহীশূর ১৯৪৭–১৯৭৩ কর্ণাটক
  পাতিয়ালা ও পূর্ব পাঞ্জাব রাজ্য ইউনিয়ন পাতিয়ালা ১৯৪৮–১৯৫৬ পাঞ্জাব, ভারত
  বোম্বে রাজ্য বোম্বে ১৯৪৭–১৯৬০ মহারাষ্ট্র, গুজরাত
  ভোপাল রাজ্য ভোপাল ১৯৪৯–১৯৫৬ মধ্য প্রদেশ
  সৌরাষ্ট্র রাজকোট ১৯৪৮–১৯৫৬ বোম্বে রাজ্য
  কুর্গ রাজ্য মাদিকেরি ১৯৫০–১৯৫৬ মহীশূর রাজ্য
  ত্রিবাঙ্কুর-কোচিন রাজ্য তিরুবনন্তপুরম ১৯৪৯–১৯৫৬ কেরল, তামিলনাড়ু
  হায়দ্রাবাদ রাজ্য হায়দ্রাবাদ ১৯৪৮–১৯৫৬ অন্ধ্র প্রদেশ
  বিন্ধ্যা প্রদেশ রেওয়া ১৯৪৮–১৯৫৬ মধ্যপ্রদেশ
  কচ্ছ রাজ্য ভুজ ১৯৪৭–১৯৫৬ বোম্বে রাজ্য
  বিলাসপুর রাজ্য বিলাসপুর ১৯৪৮–১৯৫৪ হিমাচল প্রদেশ
  কোচবিহার রাজ্য কোচবিহার ১৯৪৯ পশ্চিমবঙ্গ
  আজমীর রাজ্য আজমির ১৯৪৭–১৯৫৬ রাজস্থান
  জম্মু ও কাশ্মীর শ্রীনগর (গ্রীষ্মকালীন)
জম্মু (শীতকালীন)
১৯৫০-২০১৯
  1. সংবিধানের প্রথম তফসিল দ্রষ্টব্য।
  2. মেঘালয় রাজ্যের জৈন্তা-খাসি পাহাড়ের জেলাগুলিতে অবস্থিত রাজ্য সরকারের জেলা, উপ-বিভাগ ও ব্লক স্তরের কার্যালয়গুলিতে সমস্ত উদ্দেশ্যে খাসি ভাষাকে সহকারী প্রাতিষ্ঠানিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
  3. দার্জিলিং জেলার দার্জিলিং ও কার্শিয়াং মহকুমায় বাংলা ও নেপালি প্রাতিষ্ঠানিক ভাষা।
  4. চণ্ডীগড় একই সাথে একটি শহর ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
  5. রাজ্য/কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ হিন্দি বা ইংরেজিতে করতে বলা হয়েছে।
  6. দিল্লি একই সাথে একটি মহানগর ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
  1. DelhiAugust 5। "States and Union Territories" (ইংরেজি ভাষায়)। Know India Programme। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২১
  2. Krishna Reddy (২০০৩)। Indian History। New Delhi: Tata McGraw Hill। আইএসবিএন 978-0-07-048369-9
  3. Ramesh Chandra Majumdar (১৯৭৭)। Ancient India। Motilal Banarsidass Publishers। আইএসবিএন 978-81-208-0436-4
  4. Romila Thapar (১৯৬৬)। A History of India: Part 1 
  5. V.D. Mahajan (২০০৭)। History of medieval India (10th সংস্করণ)। New Delhi: S Chand। পৃষ্ঠা 121, 122। আইএসবিএন 978-8121903646
  6. Antonova, K.A.; Bongard-Levin, G.; Kotovsky, G. (১৯৭৯)। A History of India Volume 1। Moscow, USSR: Progress Publishers।
  7. Gupta Dynasty – MSN Encarta। ১ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  8. Nilakanta Sastri, K.A. (২০০২) [1955]। A history of South India from prehistoric times to the fall of Vijayanagar। New Delhi: Indian Branch, Oxford University Press। পৃষ্ঠা 239। আইএসবিএন 978-0-19-560686-7
  9. Chandra, Satish। Medieval India: From Sultanate to the Mughals। পৃষ্ঠা 202।
  10. "Regional states, c. 1700–1850"। Encyclopædia Britannica, Inc.।
  11. Grewal, J. S. (১৯৯০)। "Chapter 6: The Sikh empire (1799–1849)"The Sikh empire (1799–1849)। The New Cambridge History of India। The Sikhs of the Punjab। Cambridge University Press। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০২০
  12. "List of states with Population, Sex Ratio and Literacy Census 2011"
  13. "Report of the Commissioner for linguistic minorities: 50th report (July 2012 to June 2013)" (পিডিএফ)। Commissioner for Linguistic Minorities, Ministry of Minority Affairs, Government of India। ৮ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল (pdf) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৫
  14. http://www.gulte.com/news/56377/After-2200-Years-Amaravati-Gets-Back-Power
  15. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৮
  16. "Haryana grants second language status to Punjabi"Hindustan Times। ২৮ জানুয়ারি ২০১০। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৮
  17. "Punjabi gets second language status in Haryana"Zee news। ২৮ জানুয়ারি ২০১০।
  18. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৮
  19. "Telangana State Profile" (PDF)। Telangana government portal। পৃষ্ঠা 34। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৪
  20. "Urdu Gets First Language Status"
  21. "Sanskrit: Reviving the language in today’s India – Livemint"
  22. "Bifurcated into Telangana State and residual Andhra Pradesh State"The Times Of India। ২ জুন ২০১৪।
  23. "The Gazette of India : The Andhra Pradesh Reorganization Act, 2014" (পিডিএফ)Ministry of Law and Justice। Government of India। ১ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৪[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  24. "The Gazette of India : The Andhra Pradesh Reorganization Act, 2014 Sub-section" (পিডিএফ)। ৪ মার্চ ২০১৪। ২৭ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৪
  25. Sanchari Bhattacharya (১ জুন ২০১৪)। "Andhra Pradesh Minus Telangana: 10 Facts"NDTV
  26. "Official Language Act 2000" (পিডিএফ)। Government of Delhi। ২ জুলাই ২০০৩। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৫
  27. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৩ মে ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৮